সংবাদ সংস্থা মুম্বই: জাস্টিস হেমা কমিটির রিপোর্ট মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শোষণ আর বৈষম্যের ভয়ঙ্কর ছবি সামনে এনেছিল। কিন্তু সত্যিটা কী জানেন? এটা শুধুই ওপরের স্তর, নিচে যে কত ধূসর, নোংরা বাস্তবতা লুকিয়ে আছে, তা এখনও প্রকাশ পায়নি।
এই প্রসঙ্গেই এক ভয়ংকর উদাহরণ দিলেন অভিনেত্রী শালিনী পাণ্ডে, যখন তিনি শেয়ার করলেন এক রীতিমতো গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। দক্ষিণী সিনেমার শুটিং চলাকালীন পরিচালক বিনা অনুমতিতে তাঁর ভ্যানিটি ভ্যানে ঢুকে পড়েন, যখন তিনি পোশাক বদলাচ্ছিলেন! শালিনী বললেন, “আমি একেবারে ফিল্মি ইন্ডাস্ট্রির বাইরের মানুষ ছিলাম। কেউ গাইড করার ছিল না, কিছু জানতাম না। তখন বুঝতে শিখেছিলাম—নিজেকে রক্ষা না করলে, কেউ এসে আমাকে বাঁচাবে না!”
এই শিক্ষাটাই তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল সেদিন! “ এক দক্ষিণী ছবির শুটিং চলছিল। হঠাৎ করেই পরিচালক আমার ভ্যানিটি ভ্যানের দরজা ঠেলে ঢুকে পড়ে, কোনো নক না করেই! আমি তখন পোশাক পরিবর্তন করছিলাম!” বলে চলেন ‘অর্জুন রেড্ডি’র নায়িকা। “ভেবেছিল, এই মেয়েটার মাত্র ২২ বছর বয়স। মাত্র একটি ছবিতে অভিনয় করেছে। ওখানে তো সবাই বলে, ‘ভদ্র হও, মিষ্টি থাকো, বেশি চিৎকার করো না, না হলে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে পারবে না... যাই হোক, আমি কিছু না ভেবেই চেঁচিয়ে উঠেছিলাম। আমার রাগ একদম মাথায় উঠে গিয়েছিল!”
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়? পরিচালকের দোষ ধরার বদলে সবাই উল্টো তাঁকেই বলতে লাগল— “এভাবে চেঁচানো উচিত হয়নি!” শালিনী সাফ বলে দেন, “নতুন বলে কেউ আমার গায়ে পড়ে আসবে—এটা কোন নিয়ম? আপনি যেই হন, বিনা অনুমতিতে আমার ব্যক্তিগত জায়গায় ঢোকার অধিকার আপনার নেই!” শালিনী আরও বলেন, “এই ঘটনাগুলোর জন্যই অনেকে আমাকে রাগী ভাবে! কিন্তু নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমার এই গণ্ডি টানা দরকার ছিল। পরে বুঝেছি, সরাসরি রিয়্যাক্ট না করে বুদ্ধি খাটিয়ে পরিস্থিতি সামলানোও দরকার!”
আপাতত প্রশ্ন একটাই— আর কতজনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা সামনে এলে এই ইন্ডাস্ট্রি বদলাবে?
